অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সংলাপের চিঠি পাঠানোয় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। তবে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানের মূল রাজনৈতিক সংকট নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনও আলোচনা অথবা সংলাপ ফলপ্রসু হবে না এবং তা হবে অর্থহীন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয় এবং ইচ্ছা থাকলেও নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নেই। যেহেতু মূল রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নির্বাচন কমিশন প্রস্তাবিত আলোচনা ও মতবিনিময়ে সম্ভব নয়, সে কারণে বিএনপি এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছে না।
বিএনপির এ অবস্থান জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত জানাতে আজ বুধবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
ইসিতে আলোচনার বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে শুরুতে নানা দোলাচল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ইসির সঙ্গে কোনও আলোচনায় সায় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তার পেছনে সরকারের অবদান আছে- এমন সম্ভাবনার সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হয়ে ইসিকে কোনোরকম জবাব দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি।
তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক প্রসঙ্গে ফখরুল উল্লেখ করেন, আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে গৃহীত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব শাখাকে অনুরোধ জানানো হয়ে।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ বিমানের ইমেইল সার্ভার হ্যাকারদের কবলে পড়ার সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের ভূমি দফতরের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে র্যাব বেআইনিভাবে তুলে নেওয়া এবং নির্যাতনের ফলে তার মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিএনপি মনে করে, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে একজন নারীকে কোনও সুনির্দিষ্ট মামলা ছাড়াই তুলে নেওয়া এবং ফলশ্রুতিতে মৃত্যু আবারও প্রমাণ করেছে এই সরকারের অধীনে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যথেচ্ছভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেই চলেছে। সুলতানা জেসমিন র্যাব কাস্টডিতে মারা গেছেন যা, চরমভাবে মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।’
Leave a Reply